মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধকরণে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণে রিহায়ারিং ও কর্মী প্রেরণ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করার জন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় রিহায়ারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ করা যাবে।

১০ সেপ্টেম্বর রোববার ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। এতে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের আট লাখ শ্রমিক বৈধভাবে কাজ করছে। মালয়েশিয়া সরকার অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের ২ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ শ্রমিককে রিহায়ারিং কোটায় বৈধতা দিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের বর্তমান ধারা অব্যাহত রেখে এবছর ৮ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে প্রেরণ করবে। লক্ষ্যমাত্রা অজর্নে মালয়েশিয়ায় আরো অধিক পরিমাণ কর্মী প্রেরণ করার জন্য সরকার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ এবং আর যেন কেউ অবৈধভাবে সে দেশে না যেতে পারে, তার জন্য জোরালো প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।

সভায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবৈধ কর্মীদের বৈধকরণে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ, অবৈধভাবে মানব পাচার প্রতিরোধ এবং দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী প্রেরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং মানব পাচার রোধে পুলিশ, ইমিগ্রেশন, কোস্টগার্ড, বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের নিদের্শনা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম জোরদারকরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

অবৈধ অভিবাসীদের রিহায়ারিং এর আওতায় আনার জন্য মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম উইংয়ের মাধ্যমে ব্যপক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখা ও মালয়েশিয়ায় দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী প্রেরণর বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।

এছাড়া দেশের বিমানবন্দরসমূহে অবৈধভাবে কর্মী গমন রোধে মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট টাস্কফোর্সের কার্যক্রম জোরদার করণের উপর আলোচনা করা হয়। স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ভিসায় গমনকারীদের বিষয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। মালয়েশিয়ায় জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় বৈধভাবে গমনকারী কর্মীদের বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুযোগ সুবিধার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।