মিল পাওয়া গেছে উদ্ধার হওয়া প্রশ্নে

সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ৮ জনের মধ্যে রয়েছেন একজন শিক্ষক। ওই শিক্ষকের সহায়তায় আটক বাকিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজ করতেন। আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে এবারের অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন এ সব তথ্য জানান।

এর আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহযোগিতায় বুধবার (১ মার্চ) সারা রাত দেশের কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে পরীক্ষা ফাঁস চক্রের আটজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন—রমন হোসেন ওরফে মাহির, মো. রাজীব আলী, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, অন্তর, মো. তারিকুজ্জামান হিমেল ওরফে আবির, মো. লিটন মিয়া, মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে শুভ ও মো. রফিকুল ইসলাম।

আবদুল বাতেন বলেন, আটকদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক বলে জানা যায়। ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ফেসবুকে আইডি তৈরি করে সেখানে প্রশ্নপত্রের কথা লিখে Post দেয়। রফিকুলের অন্য সঙ্গীরা প্রশ্নপত্র কিনতে আগ্রহী ছাত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে পরীক্ষার্থীদের কাছথেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে। আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার প্রশ্নপত্রের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া যায়।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট