মেহেরপুরের শীতের সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে

হরেক রকমের শীতের সবজিতে ভরে গেছে জেলাজুড়ে কৃষকের মাঠ। গ্রামের মাঠে-মাঠে এখন চলছে সংগ্রহ ও বাজারজাত করার কাজ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন সেই সবজি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর কৃষি নির্ভর জেলা। সারাবছর নানা জাতের সবজি চাষ হয় এই জেলায়। বিশেষ করে শীতকে সামনে রেখে চাষীরা ব্যাপক পরিমাণ সবজির চাষ করে। পালং শাক, লাল শাক, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, করলা, মুলাসহ নানা জাতের সবজিতে এখন ভরে গেছে মেহেরপুরের হাটবাজার। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার সবজির ব্যাপক ফলন এবং ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশী চাষীরা। কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় এবার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়েছে।
সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের সবজি চাষী এনামুল হক জানান, বর্ষা কেটে যাওয়ার পর এখন সবজি ফলন ভাল হচ্ছে। ফলনের পাশাপাশি বাজারে দামও ভাল পাচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সবজী আবাদ করে এবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান জানান, এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে সবজির আবাদ হয়। এখানকার সবজির চাহিদা বেশি। বর্তমানে প্রতিদিন মেহেরপুর থেকে ৫০ থেকে ৬০ টি ট্রাক ভর্তি হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে যাচ্ছে। এবার বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি বলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ জানান, অতিবর্ষণে আগাম সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও বর্তমানে শীতের সবজি বিক্রি করে চাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। ঢাকার কারওয়ান বাজার, সিলেট ও বরিশালের সবজি বাজারে মেহেরপুরের সবজি নামে সবজি বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় মেহেরপুরের সবজির সুনাম থাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সবজি জেলার বাইরে যাচ্ছে।