মোবাইল ফোনের টাওয়ার জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর টাওয়ার অনিরাপদ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে  দেশের একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির একটি বেজ ট্রান্সিভার স্টেশনে (বিটিএস) মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণ পাওয়া গেছে।

একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক ২২ মার্চ, বুধবার প্রতিবেদনটি বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে মোবাইল টাওয়ার থেকে অতিরিক্ত বিকিরণ কমিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। তারা ঢাকা শহরের মধ্যে কয়েকটি টাওয়ারের বিকিরণ পরীক্ষা করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

আদালতে পেশ করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিকিরণের এই মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা (গাইডলাইন) অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের স্থাপিত বিটিএসগুলো পরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার মধ্যে বিকিরণ নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা যেতে পারে।

প্রতিবেদনে নিয়মিতভাবে সব মোবাইল ফোন অপারেটরের বিটিএসের বিকিরণ মনিটর করতে বিটিআরসিকে বলা যেতে পারে বলেও সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া বিটিএস স্থাপন ও এর টাওয়ার থেকে বিকিরণ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নীতিমালা অতিসত্বর প্রণয়ন করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসিকে বলা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটিও এর মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।