রমজানে কর্মবিরতিতে যাবেন না মাংস ব্যবসায়ীরা

রমজানে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম রোববার ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় বলেন, মন্ত্রীর (বাণিজ্যমন্ত্রী) সামনে কথা দিলাম কোন ধর্মঘটে আমরা যাব না।

এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদারের চাঁদাবাজিতে মাংসের দাম বাড়ার কারণে অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা না হলে ১ রমজান থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ে রমজান উপলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন রবিউল আলম।

সভায় তিনি বলেন, গাবতলী গরুর হাটের নির্ধারিত খাজনা আমার মানাইতে পারছি না। অনেক কষ্ট করে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট করেছি। আইনের মারপ্যাঁচ বুঝি না শিাগত যোগ্যতা তো বুঝেনই, মাংস ব্যবসায়ী। দীর্ঘ আটমাস আদালতে শুনানির অপোয় আছি।

সাধারণ সম্পাদক রবিউল বলেন, একটি মাত্র স্থায়ী গরুর হাট হওয়ায় আমরা সেখানে যেতে বাধ্য হই। অত্যাচারের এমন কোন মাত্রা নেই যা আমাদের উপর হয়নি। আপনার (বাণিজ্যমন্ত্রী) কাছে অনুরোধ ঢাকা দণি সিটি করপোরেশনে একটি গরুর হাঁট দিন, সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে। জাতির স্বার্থে এখানে আমি সব কথা বলতে চাই না।

তোফায়েল আহমেদের উদ্দেশ্যে রবিউল আলম বলেন, আপনি ব্যস্ত মানুষ। জাতির বিবেক। বঙ্গবন্ধুর গন্ধ আপনার শরীরে পাওয়া যায়। এত অত্যাচার মাংস ব্যবসায়ীদের উপর হচ্ছে! দেখার কেউ নেই। একটু উপ-সচিব পর্যায়ে যদি দুটি কথা আমাদের শোনেন, শুনে আমাদের শাস্তির আওতায় আনেন।

বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন রবিউল। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দু’চারদিনের মধ্যে আমি আপনাদের সঙ্গে বসব। বসে আপনারাদের সমস্যা চিহ্নিত করে সিটি করপোরেশনের দু’জন মেয়রের সঙ্গে বসে তা সমাধান করব।

এ সময় একজন সাংবাদিক জানান, মাংস ব্যবসায়ীরা ১ রমজান থেকে ধর্মঘট ডেকেছেন। তখন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, না, স্ট্রাইকে যাইয়েন না।

এরপর রবিউল আলম বলেন, এই সরকার আমাদের, এই সরকারের সুনাম রা করার দায়িত্ব আমাদের। মন্ত্রীর সামনে কথা দিলাম কোন ধর্মঘটে আমরা যাব না। আমার নেতা যদি চায় সমস্যা সমাধান হতে এক মিনিটও লাগবে না।

আজকের বাজার: আরআর/ ৩০ এপ্রিল ২০১৭