রাণীনগর-কালীগঞ্জ-আত্রাই সড়কটি যেন ধান চাষের জমি!

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন নওগাঁর রাণীনগর-কালীগঞ্জ-আত্রাই সড়কটি পরিণত হয়েছে ধান চাষের জমিতে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির প্রেমতলী থেকে বনমালীকুড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে চলাচলা করা গেলেও বর্ষায় এ সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।

বনমালীকুড়ি থেকে আত্রাই যাওয়ার প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ অংশেই ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর এ অঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষকে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক হওয়ার কারণে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার শড়িয়া গ্রামের শফিকুর জানান যে শড়িয়া, বনমালীকুড়ি, কালীগঞ্জসহ প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষদের নওগাঁ, রাণীনগর, আত্রাই চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু বছরের পর বছর কোনো সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় আজ এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে থাকার কারণে বোঝা যায় না যে কোনটি সড়ক আর কোনটি গর্ত।

এলাকাবাসী জনান, এ সড়ক তাদের জীবনের চাকাকে থেমে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না বলে সেখানের মানুষদের জীবনমানও বদলায় না। শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় বলে তাদের সাথে অন্য এলাকার লোকজন আত্মীয়তা করতে চায় না বলে অভিযোগ করেন তারা। আর সড়কটিতে প্রতিদিনই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে।

একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ বলেন, ‌‌‌’এ সড়কটি সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম বলেন, ‘সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তা সংস্কার কাজের প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে। দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আগামী মাস থেকে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।’