রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে : ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেছেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সার্বিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
করোনাকালীন ও পরবর্তী সময়ে অনেক উন্নত দেশেও অর্থনৈতিক দুর্যোগ পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কখনোই মুখ থুবড়ে পড়েনি। ডেপুটি স্পিকার বলেন,সার্বিক বিবেচনায় রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য আরও ভালো অবস্থান তৈরি করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে। তাঁদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কোন অজুহাতেই রেমিটেন্স যোদ্ধাকে বঞ্চিত রাখা যাবে না, তাঁদের সার্বিক সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শামসুল হক টুকু আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে পার্লামেন্টারি ককাসের সামগ্রিক সহযোগিতায় ও ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, দ্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও হেলভেটাস বাংলাদেশ’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘অভিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অধিকার বাস্তবায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট জাতীয় পরামর্শ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, তানভীর শাকিল জয়, মোস্তাফিজুর রহমান, রানা মোহাম্মদ সোহেল, কাজিমুদ্দিন আহমেদ, আরমা দত্ত, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, তামান্না নুসরাত (বুবলী), আদিবা আনজুম মিতা, জাকিয়া তাবাস্সুম, রওশন আরা মান্নান এবং সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার, রুকসানা ইয়াসমিন ছুটি ও নাভানা আক্তার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কেউ পিছনে পড়ে থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি হাতকে কাজে লাগাতে চান। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জনের মধ্যদিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ গড়তে আমাদের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বেকারমুক্ত করে সম্পদে পরিণত করতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা বোঝা নয়, এগুলো সম্পদ। আর এই সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা অর্জন করতে হবে।’
একটি সেক্টরকে আরেকটি সেক্টরের প্রতদ্বন্দ্বী ভাবা উচিৎ হবে না উল্লেখ করে শামসুল হক টুকু বলেন, সব সেক্টরকে নিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। সবার জন্য সুষম বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে। স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন ও দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে এবং অগ্রাধিকার নির্ধারন করে বাজেট করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ‘বৃহত্তর অভিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অধিকার বাস্তবায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট’ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম ‘মন্ত্রণালয়ের বাজেট তৈরির অভ্যন্তরীন প্রক্রিয়া এবং বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের সুপারিশমালা একীভূত করার সুযোগ’ শীর্ষক প্রেজন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সভায় হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবুল বাশার, ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক, সাংবাদিক জামিল মাহমুদসহ বায়রা, সিপিডি, হেলভেটাস বাংলাদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।