র‌্যাব সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেলো

করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এই মামলার তদন্ত করছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলাটির তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল র‌্যাব।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ আজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে আমাদের তদন্তের অনুমোদন দেয়।

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাসসকে জানান, ইতোমধ্যে সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জাল টাকা উদ্ধারের মামলা ও সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলাসহ এই দু’টি মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা এই দু’টি মামলার তদন্তের অনুমোদন পেয়ে যাবো।

তিনি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার পর্যন্ত ফোনে ও ই-মেইলে ১৫০টি অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।

এদিকে, উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বাসসকে জানান, ‘এখনও পর্যন্ত সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে আমার থানায় প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি,অর্থআতœসাত, জালটাকা সংক্রান্ত ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান