লালমনিরহাটে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের দুয়ারে ছুটছেন জেলা প্রশাসক

নৌকায় শুকনো খাবারের প্যাকেট নিয়ে বন্যার্ত পরিবারগুলোর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিস্তার বামতীর মহিষখোচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন তিনি।

গত দুই সপ্তাহের টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুইদিন ধরে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা নদীর বামতীর লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পঞ্চম দফার এ বন্যায় জেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দেয়।

পানিবন্দী এসব পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার নিয়ে ছুটে যান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। নৌকায় করে খাবারের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে বিতরণ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন, বালাপাড়া, বারঘড়িয়া, চৌরাহা, কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, রজবপাড়া প্রভুতি গ্রামে প্রায় ৩ শাতাধিক পরিবারের মাঝে নিজ হাতে এসব শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। প্রতি খাবারের প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, ৫০০ গ্রাম নুডুলস, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি চিড়া।

এ সময় আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ও মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।