লালমাটিয়া ও ফেয়ার ফাইটার্স আজীবন নিষিদ্ধ

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে চার বলে ৯২ রান দেয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে কাব লালমাটিয়া ও ফেয়ার ফাইটার্সের বিরুদ্ধে পদপে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ওই দুই কাবকে স্ক্র্যাচড (আজীবন নিষিদ্ধ) করেছে বিসিবি। একইসঙ্গে দুই খেলোয়াড় সুজন মাহমুদ ও তাসনিমকেও ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২ মে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য শেখ সোহেল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দদেশের ক্রিকেটকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছি। দুই কাব লালমাটিয়া ও ফেয়ার ফাইটার্স্কে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও দুই বোলার সুজন মাহমুদ ও তাসনিমকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দুই ম্যাচে যে সকল আম্পায়াররা ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তাদেরও ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে লালমাটিয়া ক্রিকেট সেক্রেটারি আদনান রহমান দীপনকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় দুই কাবের অধিনায়ক ও কোচদেরকেও ৫ বছরের নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান সোহেল, দএছাড়াও লালমাটিয়া কাবের সংগঠক দিপনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি দুই কাবের কোচ ও অধিনায়ককেও পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের ঢাকা ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা চলছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগের সেই ক্রিকেট ম্যাচে যেখানে লালমাটিয়া ও ফেয়ার ফাইটার্সের খেলায় ঘটেছিল অনাকাক্সিক্ষত ও নজিরবিহীন এক ঘটনা। ৪ বলে ৯২ রান দেন বোলার। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘটল তাজ্জব এই কাণ্ড। অবশ্য ব্যাটসম্যানের কোনও অবদান রইল না এমন রান তোলার ক্ষেত্রে। হতভাগ্য বাংলাদেশি বোলারের নাম সুজন মামুদ। আম্পায়ারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গান্ধীগিরির পথ বেছে নিলেন তিনি। ক্রমাগত ওয়াইড ও নো বল করে গেলেন তিনি।
কেন হঠাৎ তিনি রেগে গেলেন আম্পায়ারের উপর? টসের সময় লালমাটিয়ার অধিনায়ককে কয়েন দেখার অনুমতি দেননি আম্পায়ার। কোনওরকম আলাপ আলোচনা না করেই তিনি লালমাটিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। খেলায় ‘পরিচ্ছন্নতা’র অভিযোগ তুলে এরপরেই লালমাটিয়া এমন অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়। কাবের সাধারণ সচিব আদনান রহমানও দলের এমন প্রতিবাদে সায় দেন।