শরীয়তপুরে বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে ১,০০০ পরিবার

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কেদারপুর ইউপির চণ্ডীপুর এলাকায় গত কয়েক দিন পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে তিনটি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ঝুঁকিতে রয়েছে দুটি গ্রামের এক হাজার পরিবার। গত শুক্রবার পদ্মার তীব্র স্রোতে চণ্ডীপুর এলাকায় ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৪৭ মিটার অংশ ধসে যায়।

চণ্ডীপুরের বাসিন্দা চুন্নু মাদবর বলেন, হঠাৎ করে নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণাধীন বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। বাড়ির একটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামের এক আত্মীয়ের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। বাপ-দাদার ভিটে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেল। আল্লাহই জানেন, এ জীবনে আর নিজের ভিটায় ফিরতে পারব কি না।

কেদারপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ বলেন, হঠাৎ করে নদীতে পানি বাড়ায় এলাকায় আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। পাঁচগাঁও ও চণ্ডীপুর গ্রামের ১ হাজার পরিবার ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের কিছু অংশে ভাঙন হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙন রোধে নতুন করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আশা করছি, আর কোনো সমস্যা হবে না।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নড়িয়া- জাজিরা ভাঙন রোধে পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে গত বছর। চলছে সিসি ব্লক ডাম্পিং, চর খননসহ অন্যান্য কাজ। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান