সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ উত্থাপন

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধানের প্রস্তাব করে আজ জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ উত্থাপন  করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রস্তাবিত বিলের বিধি অনুযায়ি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার জন্য ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষিক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দু’জন বিশিষ্ট নাগরিককে নিয়ে ৬ জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে কমিটি গঠনের পর ১০  কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবরে সুপারিশ  প্রেরনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া অনুসন্ধান কমিটি  বিভিন্ন রাজনৈতিকদল  ও পেশাজীবি সংগঠনের কাছে এ বিষয়ে নামের সুপারিশ আহবান করতে পারবে বলে বিলে উল্লেখ হয়েছে।
বিলে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার বিধানের প্রস্তাব করা হয়। যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স ন্যুনতম ৫০ বছর হতে হবে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারী বা বেসরকারি পদে অন্যুন ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া বিলে  প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের অযোগ্যতার বিষয়গুলো নির্ধারনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এদিকে বিএনপির হারুনুর রশীদ  বিলটি উত্থাপনের পর্যায়ে আপত্তি উত্থাপন করেন। এ পর্যায়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দীর্ঘ বক্তব্যের পর কন্ঠভোটে জনাব হারুনের আপত্তি নাকচ হয়ে যায়।