সন্ধানী স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ধানী স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে। আশা করি তারা চোখদানকেও জনপ্রিয় করে তুলে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করবে। আগামীকাল ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ধানী মানবতার পথ ধরে হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীর জীবন ফিরিয়ে দিতে ২ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে এক ইতিহাস সৃষ্টি করে।’
বর্তমান সরকার ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে স্বেচ্ছায় অঙ্গদান ও মৃত্যুর পর চক্ষুদানে আর কোন জটিলতা থাকবে না। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোন উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গনেয়া যাবে। তাই মৃত্যুর পর শোককে এক মহৎ সেবায় পরিণত করতে সেই পরিবারের কোন উত্তরাধিকার চোখ সংগ্রহের অনুমতি দিতে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশে কর্ণিয়া দান ও কর্ণিয়া সংযোজনে এক বিপ্লব ঘটেযেতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে ‘অন্ধত্বমোচন অর্ডিন্যান্স’ জারী করেন।’

প্রধানমন্ত্রী সন্ধানী, সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণকে এই মানবিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং করোনা মহামারির সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠান পালনের জন্য অনুরোধ করেন।

বাণীতে তিনি প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন।

একই সাথে সারা বিশ্ব করোনা মহামারিতে পর্যদস্ত, তার মাঝেও মানবিক মূল্যবোধের ডাকে সাড়াদানকারী এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও তিনি ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।