সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড আননেসেসারি

বর্তমানে সাংবাদিকদের বেতন সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়েও বেশি মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের বেতন সরকারি কর্মকর্তাদের চাইতেও বেশি। তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়েজ বোর্ডের কোনো দরকার নেই।

মঙ্গলবার ০৮ আগস্ট সচিবালয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব এর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে নোয়াবের পক্ষ থেকে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দ্যা ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে ৯ম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে যে সাড়ে পাঁচ’শ মতো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়, সেগুলো টোটালি ‘ইউজলেস’।

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, প্রোভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে কিন্তু সাংবাদিকদেরতো এমন কোনো সুযোগ নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাদেরও প্রোভিডেন্ট ফান্ড আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাসটার্স ডিগ্রি পাশ করে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে ৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি মাস্টার্স পাশ করা আমাদের পিয়নও আছে। ১৬ হাজার টাকা বেতন পায়। আমি জানি আপনাদের ৫ টি গ্রেড আছে। সর্বশেষ গ্রেড ২০ হাজারের কোটায় রয়েছে। টেলিভিশনেতো ওয়েস বোর্ড নেই এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নো, নো টেলিভিশন নয় ফর অল এভরিবডি।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আপনার একজন বা দুইজন দায়িত্ব নেন, আমাকে আপনাদের ৫টি গ্রেডের তথ্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ১৫-২০ টি খবরের কাগজ ছাড়া ৫০০ টা পত্রিকা রয়েছে এগুলো ওল আর ভোগাস। আমি ১৫ বা ২০ পত্রিকার জন্য বেতন স্কেল ঠিক করতে পারি। যেগুলোতে মানুষজন কাজ করে।

টেলিভিশনগুলোর কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেম, সেম সেম। কয়েকটা টেলিভিশন মরে যাবে। ইজ ইট ডিজারেবল ফর কান্ট্রি। দুনিয়ার কোন খানে এত টেলিভিশন চ্যানেল আছে?

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি কত বার বলেছি, এতগুলো ব্যাংক আছে, টেলিভিশন আছে, এগুলো থাকবে না। অটোমেটিক্যাললি এগুলো মরে যাবে যাবে, যখন আইনটা হবে।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে আগামী ১৭ আগস্ট দুপুর ১২ টায় সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা বসে বিষয়টি দেখা হবে জানান অর্থমন্ত্রী।

এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান, তাহলে সরকার এগুলোর অনুমোদন দেন কেন ? জবাবে উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার জন্য এখনো কোনো আইন নেই। ওয়েজ বোর্ড হচ্ছে খবরের কাগজের জন্য, সেজন্য সংবাদপত্রের মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৮ আগস্ট ২০১৭