রামপাল পুন:বিবেচনার আহবান বিশিষ্টজনদের

আজকেরবাজার প্রতিবেদক: সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পুন:বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। একই সাথে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান হলে, তা জাতীয় বিপর্যয় নেমে আসবে বলেও মত তাদের।

বিশিষ্টজনদের মতে, সারা পৃথিবীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পদ্ধতিটি পরিত্যাক্ত ও ক্ষতিকর। তাই এটা বাংলাদেশের কোথাও হতে পারে না।

শনিবার,২২এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরোদ্দোজা চৌধুরী বলেন,এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তারা দেশ বিরোধী বা বিদুৎ বিরোধী নয়, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে শেষ বারের মতো সমীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি বিবেচনার আহবান জানান তিনি। অন্যথায় রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বি. চৌধুরী।

একই অনুষ্ঠানে, সুন্দরবন রক্ষায় এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনগনকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান মাহমুদুর রহমান মান্না।

এই প্রকল্পেরর বিরুদ্ধে জনগনকে সাথে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলনে নামার আহবান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গণবিবোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবার আহবান জানিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে এসব প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করা হয়, পরিবেশর ক্ষতি হয় কী না। কিন্তু রামপালে এ প্রকল্পের জন্য পরীক্ষা নিরিক্ষার আগেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘১৩২০ একর জমির উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহন করা হয়েছে ২৬৪০ একর ।’

ভারত এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে। অথচ ভারতের মাটিতে এধরনের প্রকল্প অনুমোদন দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রামপালের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, তারা রাজাকার আবার সরকারের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন রামপাল প্রকল্পের দূষিত বাতাস সুন্দরবনের দিকে যাবে না। তাহলে কী বলবো আমাদের সরকার বাতাসকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে ।‘

আট্রাসুপার কিংবা সুপার টেকনলজি ব্যবহার করে যদি পরিবেশ রক্ষা করা যেত, তাহলে ভারতে কেন এই প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে এমন প্রশ্ন রাখেন নজরুল ইসলাম খান।

আজকেরবাজার:এসআর/এলকে/২২এপ্রিল,২০১৭