স্বর্ণ মেলায় ১৩০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আয়

দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত স্বর্ণমেলায় ১৩০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আয় হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ সময় ১৩ লাখ ভরি অপ্রদর্শিত সোনা নির্দিষ্ট কর দিয়ে বৈধ করেছেন। এর পাশাপাশি প্রায় এক হাজার ক্যারেট হীরা ও ৫০০ ভরি রুপা বৈধ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
গত রোববার রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে স্বর্ণমেলা শুরু হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী মেলা চললেও দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে মেলা ছিল দুই দিনের।
স্বর্ণ মেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (আয়কর নীতি) কানন কুমার রায় বুধবার বাসস’কে বলেন,প্রথমবারের মত এ ধরনের মেলা আয়োজন করা হলেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমরা ভাল সাড়া পেয়েছি। গতকাল ঢাকা ও চট্টগ্রামে রাত ১০ টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করেছেন।
তিনি জানান,স্বর্ণমেলায় মোট ১৩০ কোটি টাকার ওপরে কর রাজস্ব আয় হয়েছে। ২ হাজার ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৩ লাখ ভরি সোনা বৈধ করেছেন।
এনবিআরের হিসাবমতে, ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে আয়োজিত স্বর্ণমেলা থেকে কর রাজস্ব আয় হয়েছে ১০১ কোটি টাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে স্বর্ণমেলা থেকে আয় এসেছে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা, খুলনায় ৭ কোটি ২৯ লাখ, বরিশালে ৩ কোটি ১২ লাখ, রাজশাহীতে ১ কোটি ২ লাখ, রংপুরে ৩ কোটি, সিলেটে ৩ কোটি ২০ লাখ এবং ময়মনসিংহে প্রায় ১ কোটি টাকার কর রাজস্ব এসেছে।
এনবিআরের আয়োজনে স্বর্ণমেলায় সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
উল্লেখ্য,কাগজপত্রবিহীন বা অপ্রদর্শিত সোনা নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দিতে গতমাসে এনবিআর একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্র অনুযায়ী- ব্যবসায়ীরা অপ্রদর্শিত প্রতি ভরি সোনা ও সোনার অলংকারে ১ হাজার টাকা, হীরায় ৬ হাজার টাকা ও রুপায় ৫০ টাকা আয়কর প্রদান করে বৈধ করতে পারবেন। অপ্রদর্শিত সোনা বৈধকরণের উৎসাহ দেয়ার লক্ষে এনবিআর স্বর্ণমেলার আয়োজন করে।
গতকাল মেলা শেষ হলেও একই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট করাঞ্চলের কার্যালয়ে গিয়ে সোনা বৈধ করার সুযোগ ৩০ জুন পর্যন্ত পাবেন জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা।