২৮ কোম্পানির তিন ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

উৎপাদন মানসম্মত না হওয়ায় ২৮টি কোম্পানির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাপরিচালক, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র‌্যাবের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘জিএমপি (গুড মেনুফ্যাকটরি প্রেকটিস)’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। ওষুধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, ফ্যাক্টরির অবস্থান, পদ্ধতি, প্যাকেট, বোয়িংসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে জিএমপি নীতিমালায়। এ নীতিমালাটি আমাদের দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা স্বীকৃত। ফলে জিএমপি লঙ্ঘন করে ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়।

নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের অভিযোগ এনে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারের অনুমতিক্রমে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। যেখানে এসব কোম্পানির উৎপাদিত অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরাইড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে। যে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির তিন ধরনে ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ থাকবে:

অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লি., বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি., সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ডিসেন্ট ফার্মা লি., ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্রীনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ম্যাক্স ড্রাগস লি., ম্যাডিমেট ল্যাবোরেটরিজ লি., মর্ডান ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লি., অর্গানিক হেলথকেয়ার লি., ওয়েস্টার ফার্মা লি., প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি., প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লি., সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনাইটেড ক্যামিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., টেকনো ড্রাগস লি. ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট