৮ মাসে মাছ রপ্তানিতে আয় ২৮৩৫ কোটি টাকা; চিংড়িতে ৮৫.৪১%

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ২২৮ কোটি টাকা।

অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪২১ কোটি টাকা; যা এ সময়ের হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয়ের ৮৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মার্চ মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মৎস্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৫ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ সময়ে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। তবে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের তুলনায় এবার এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩৭ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ৪৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে এ খাতের আয় হয়েছিল ৫৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ০১ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও এ খাতের আয় ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৯ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩১ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।