বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিকে হেয় করে বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে চিত্রনায়ক ও নির্মাতা বাপ্পারাজকে সাত দিনের সময় দিয়ে গত ১৪ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে পরিচালক সমিতি। এর জবাবে বাপ্পারাজ বলেছেন, তিনি এই সমিতিতে থাকতে চান না। তিনি বলেন, ‘পরিচালক সমিতি কাজের চাইতে অকাজটাই বেশি করছে।
বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমার বক্তব্য তারা বুঝতে পারেনি কিংবা বোঝার জন্য যতটুকু জ্ঞান দরকার সেটা তাদের নেই। আমি তাদেরকে উপরে রেখেই কথা বলেছিলাম। আমে বলেছি, তারা চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে তাদের অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু সেটা না করে তারা একজন আরেকজনের পেছনে লেগেছে।
পরিচালক সমিতি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলে বাপ্পারাজ বলেন, ‘সমিতির সদস্য হওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। সেটা ফেরত দেওয়া হোক। এই সমিতি আমার কোন কাজে লাগছে না। আর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচালক সমিতির অনুমোদন নিতে হবে বলেও আমি মনে করি না।’
বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে বাপ্পারাজ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়, সেন্সরবোর্ড, এফডিসি রয়েছে। পরিচালক সমিতি কিসের জোরে চলচ্চিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই? এরা তো চলচ্চিত্রের উন্নয়নের চাইতে বাঁধা সৃষ্টি করছে বেশি। আমি সমিতি করে খাই না। আমার সমিতিতে থাকা-না থাকায় কিছু যায় আসে না।’
সাম্প্রতিক সময়ে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নোটিশ পাঠায় পরিচালক সমিতি। পরে শাকিব খান বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করার পর তার সমাধান হয়। নির্মাতা শামীম আহমেদ রনির সদস্য পদ বাতিল করে সমিতি। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সমিতির কাছে আবেদন করার পরও রনির সদস্য পদ পুনঃবহাল করা হয়নি। সর্বশেষ বাপ্পারাজকে নোটিশ পাঠায় পরিচালক সমিতি।
এর প্রেক্ষিতে বাপ্পারাজ বলেন, ‘পরিচালক সমিতির তো কোনো কাজ নাই। ইচ্ছামতো বয়কট করে। বয়কট করা কি সমাধান? তারা ভুলে যায় একজন শিল্পীকে বয়কট করা যায় না। তার সাথে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ জড়িত। শিল্পী যদি কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে সেই শিল্পীকে বাদ দিয়ে কাজ করুন। নতুন শিল্পী তৈরি করুন। যে শিল্পী বেশি ভোগায় তাকে নিয়ে কাজ না করলে সে এমনিতেই হারিয়ে যাবে। সমিতির তো আরও অনেক কাজ আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে এর পেছনে, ওর পেছনে লাগার কি দরকার?
এদিকে পরিচালক সমিতির সদস্যভুক্ত একাধিক নির্মাতা বলেন, ‘বাপ্পারাজ নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে। তাকে চিঠি পাঠানোর পর পরিচালক সমিতি এখন সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করে সুষ্ঠ মীমাংসা করা দরকার।
সূত্র: দ্য রিপোর্ট
আজকের বাজার: আরআর/ ১৮ মে ২০১৭