ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ছয়জনের মৃত্যু

পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরিতে গতকাল রাতে কয়েকদফা অগ্ন্যুৎপাতের ফলে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছে। কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, চার-স্তরের সতর্কতা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চে স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। জাকার্তা থেকে এএফপি এখবর জানায়।

ফ্লোরেসের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপে অবস্থিত মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি’র আশেপাশের গ্রামগুলোতে ছাই এবং লাভার ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি সোমবার কমপাস টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে ছয়জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এএফপির প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা গেছে আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি গ্রামগুলো পুরু ছাই দ্বারা আবৃত, কিছু এলাকায় আগুন লেগেছে।

দেশটির আগ্নেয়গিরি সংস্থা সতর্কতা স্তরকে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে এবং স্থানীয়দের এবং পর্যটকদেরকে অগ্ন্যুৎপাত কেন্দ্রের সাত কিলোমিটার (৪.৩-মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে কার্যক্রম না চালাতে বলেছে।

সোমবার সংস্থার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকিতে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।’

এটি সতর্ক করে দেয় যে বৃষ্টির কারণে লাভা স্রোত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে এবং আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের প্রভাব এড়াতে স্থানীয়দের মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

জানুয়ারী মাসে পর্বতটিতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল, যার কারণে সেই সময়ে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করে এবং কমপক্ষে ২,০০০ বাসিন্দাকে সরে যেতে অনুরোধ করে।

ইন্দোনেশিয়া, একটি বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জের দেশ, প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার” এর অবস্থানের কারণে ঘন ঘন অগ্ন্যুৎপাতের সম্মুখীন হয়। এটি তীব্র আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্প প্রবন একটি এলাকা।