ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্প ও পরবর্তীতে সৃষ্ট সুনামিতে চারদিনে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে আছেন অনেকে। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহো জানান, পালু, ডঙ্গালা, সিগি ও পারিগি মুনতোঙ্গ শহরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৩৪ জনে। এছাড়া ৭৯৯জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সিগি ও বালারোয়াতে এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
পরপর দু’টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহর। এখানে বসবাসকারী তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতদের গণকবরে দাফন করা হচ্ছে। সোমবার ১৫৩ জনকে দাফন করা হয়। দাফন কাজ মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। সরকার বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষকে দ্রুত খাবার ও ত্রাণ সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার উপকূলীয় সুলাওয়েসী দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির ২০ ফুট উচ্চতার বিশাল ঢেউ বিভিন্ন শহরের ওপর আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই শহরটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় পালু শহর।
পরপর দু’টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য স্থাপনাসহ হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে মসজিদ, শপিং মল, হোটেল, হাসপাতাল, সেতু, রাস্তাঘাট। পালু বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এর আগে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় ৯.১ মাত্রা প্রচণ্ড ভূমিকম্প ও সুনামিতে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
আজকের বাজার/এমএইচ