ইরান গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করে : আরাগচি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি দামেস্কে বলেছেন যে ইরান গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করে এবং ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তারা  যেকোনো আক্রমণের জবাব আনুপাতিকভাবে এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর শক্তি দিয়ে দেবে। দামেস্ক থেকে এএপি শনিবার জানায়, সিরিয়ায় একদিনের সফর শেষ করে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের’ পাশে দাঁড়াতে ইরানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে উল্লেখ করেন যে তার দেশ বাস্তুচ্যুত লেবাননি শরণার্থীদের সমর্থনে সিরিয়ার সাথে তার সহায়তা ও সমন্বয় অব্যাহত রাখবে। আরাগচি বলেন, আমাদের এজেন্ডায় দুটি জরুরী বিষয় রয়েছে: লেবাননের শরণার্থীদের চাহিদা পূরণ করা এবং গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে ইরান ইতোমধ্যে সিরিয়ায় লেবাননের শরণার্থীদের সাহায্যে সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে এবং শিগগির আরো সাহায্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে, আরাগচি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যেকোনো ইসরাইলি হামলার প্রতি আমাদের জবাব হবে আনুপাতিক, এবং প্রয়োজনে আরো শক্তিশালী। আমরা অতীতে এটি প্রমাণ করেছি এবং তাদের আবারো আমাদের সংকল্প পরীক্ষা করতে স্বাগত জানাই।’ আরাগচি উল্লেখ করেন যে যুদ্ধবিরতির জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলো বর্তমানে আলোচনাধীন তবে নির্দিষ্ট বিবরণ প্রদান করা থেকে বিরত রয়েছে। তিনি জোর দেন যে যেকোনো যুদ্ধবিরতির শর্ত অবশ্যই ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সিরিয়ার সাথে ইরানের সম্পর্ক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, আরাগচি দুই দেশের মধ্যে দৃঢ়মূল কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন এবং সিরিয়ার প্রতি ইরানের সমর্থন সব পরিস্থিতিতে অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি জালালির সাথেও বৈঠক করেন। এ সময় তারা লেবাননে ইসরাইলি সামরিক হামলা থেকে পালিয়ে আসা লেবাননের পরিবারগুলোকে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। (বাসস)