ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

ইরান ইসরাইলে মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযানের পর সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটেছে।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
এএফপি সাংবাদিকরা জানান, জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার সাথে সাথে ইসরাইল জুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে যে ইরান  ইসরাইলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর বলেছে যে গত সপ্তাহে ইসরাইলের বিমান হামলায়  হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নসরুল্লাহকে হত্যা এবং তেহরানে বোমা হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সকল বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করে ইসরাইলি আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে হওয়ায় ইরাক ও জর্দানের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এএফপি সংবাদদাতা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব দিক থেকে ইসরাইলের দিকে যাওয়ার সময় জর্দানের রাজধানী আম্মানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরাইলের মিত্ররা তাদের বাধা দিতে চেয়েছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এর আগে পেন্টাগণ প্রধান লয়েড অস্টিনের সাথে ইরানের হুমকি নিয়ে আলোচনা করেন। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের ইসরাইলে হামলার জেরে এ অঞ্চল জুড়ে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যেই গাজা যুদ্ধে আকৃষ্ট হয়েছে। তবে তেহরান মূলত তার আঞ্চলিক শত্রুর ওপর সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত ছিল।
মঙ্গলবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে সৈন্যরা ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত জুড়ে দক্ষিণ লেবাননে ‘সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযান’ শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা অভিযানের মাত্রা বা এর সময়সীমার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
এক সপ্তাহ ধরে লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায়
ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্তিশালী নেতা হাসান নসরুল্লাহসহ কয়েকশ’ লোক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান সত্ত্বেও  ইসরাইল লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করে।
ইরান বলেছে, নসরুল্লাহর হত্যাকা- ইসরাইলের ‘ধ্বংস’ ডেকে আনবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে যে তেহরান ইসরাইলের মোকাবেলায় কোনো সেনা মোতায়েন করবে না। পেন্টাগন বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিনী সম্প্রসারণ করছে। (বাসস)