ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ কান জানিয়েছে, হামাসের গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে একটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হামলার প্রস্তুতি সম্পর্কে সামরিক কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সেপ্টেম্বরে সংক্ষিপ্ত খসড়া তৈরি করেছিল। হামাসের হামলার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। কান সোমবার রিপোর্ট করেছে।
এটি বলেছে, ইউনিট ৮২০০ গোয়েন্দা নথিতে জিম্মি নেওয়ার জন্য অভিজাত হামাস যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ ইসরায়েলে সামরিক অবস্থান এবং ইসরায়েলি সম্প্রদায়গুলোতে অভিযানের পরিকল্পনার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কান রিপোর্ট করেছে, সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা শত শত ইসরায়েলীকে জিম্মি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল।
কানের মতে সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, ‘জিম্মিদের প্রত্যাশিত সংখ্যা: ২০০-২৫০ জন।’
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসাবে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করেছিল। যার ফলে ১,১৯০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক।
হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করেছে। এর মধ্যে ১১৬ রয়ে গেছে গাজায়। সেনাবাহিনী অবশ্য বলছে তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছে।
ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় ৩৭ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
কানের মতে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সেনাবাহিনীর গাজা বিভাগ এবং দক্ষিণ কমান্ডের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণটি জানা ছিল।
ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা হামাসের আক্রমণকে ঘিরে গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়াামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত হবে যুদ্ধের পরে। (বাসস ডেস্ক)