ঈদুল আজহার আর মাত্র কিছু দিন বাকি। গরুর খামারীদের যেন দম ফেলানোর সময় নেই। সবাই ব্যস্ত তাদের খামারের বড় গরুগুলোকে বাজারে প্রদর্শনের জন্য । ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে খামারীরা তাদের সেরা গরুগুলোর নাম রাখছেন। খান বাহাদুর, রাজাবাবু, জায়েদ খাঁন, বসসহ নায়কের নামে।
ঠিক তেমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের কালিউতা গ্রামের কৃষক হাজী সফিকুল ইসলাম তার গরুর নাম রেখেছেন ‘কাজল বাবু’।
জানা যায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের কালিউতা গ্রামের কৃষক হাজী সফিকুল ইসলাম সাড়ে তিন বছর ধরে এ ষাড় গরুটি লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন। এ বছর এ কাজল বাবুকে ঈদুল আজহায় বিক্রি করা হবে। কাজল বাবুকে এখনও কোনো বাজারে তোলা হয়নি।
কাজল বাবুকে দেখতে সফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। গরুটির দাম উঠেছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। ওজন প্রায় ১৯ থেকে ২০ মণ হবে।
কৃষক সফিকুল ইসলাম জানান, এবার কোরবানীতে কাজল বাবুকে বিক্রি করা হবে। ঘরের দেশি গরুর বাছুর থেকে গত সাড়ে তিন বছর ধরে এ ষাড় গরুটিকে লালন-পালন করে বড় করা হয়েছে। কাজল বাবুর মা এখনও জীবিত। গরুটির গায়ের রঙের সঙ্গে মিল রেখে নাম রাখা হয়েছে ‘কাজল বাবু’। ভূষি, শুকনো খড় ও ঘাস খাইয়ে গরুটিকে বড় করা হয়েছে।
তিনি জানান, শান্ত স্বভাবের এ ষাড় গরুটি। গরুটিকে এখনও বাজারে তোলা হয়নি। বাড়িতে রেখেই গরুটিকে বিক্রি করতে পারব। ২০ মণ ওজনের কাজল বাবু নামে গরুটির দাম ৭ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত কাজল বাবুর দাম উঠেছে ৫ লাখ টাকা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, পশু পালনে খরচ কমাতে সবময়ই প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজারকরণে খামারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়। (বাসস)