দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২০ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৮টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৬৬ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৪১ শতাংশ।
নতুন যে ৩৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২০০ জন বা ৭৭.২১ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২৪০ জন বা ২২.৭৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৭৯৮ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৬.৮১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর
সংখ্যা ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৩ জনে পৌঁছেছে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৮ জন।
এছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত সাড়ে ৭৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ১০ হাজার ৮৫২ জনে। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ২৯ লাখেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৬ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ৩ হাজার ৫৬৯ জন। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৫৬ লাখের বেশি মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৩ লাখ ৯৭ হাজারেরও বেশি রোগী।