খুনি হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কোটা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। বিগত ১৫ বছর গুম, খুনসহ লুটপাট করেছে। খুনি হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা লুটেপুটে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। তাদের হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত।
তিনি আজ বৃস্পতিবার সকাল ১১ টায় কাজীর দেউড়িস্থ নূর আহমদ সড়কে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে কোতোয়ালী, বাকলিয়া থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিতে হবে। পদত্যাগী সরকারের লোকজন নানাভাবে চক্রান্ত করছে। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা করছে, ডাকাতি করছে, বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয় ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে প্রপাগা-া চালাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত জনগণ রুখে দেবে। অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রের সুফল দেশের মানুষকে ভোগ করবে। বাংলাদেশ একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যেন সবাই মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াতে পারি তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খানের পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল মন্নান, জয়নাল আবেদিন জিয়া, সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা হাজী নুরুল আকতার,  মোহাম্মদ আলী, আবদুল বাতেন, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ আলম কুতুবী, আবদুল হাই, আজাদ বাঙ্গালী, আলমগীর আলী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এসএম মফিজ উল্লাহ, আলি আব্বাস খান, মো.  শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আবুল কালাম আবু, আবু সাঈদ হারুন, হাজী আবু মো. মহসিন, সাইদুল সওদাগর প্রমুখ।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুরে লালখান বাজার চত্বরে ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে।
লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছিম আহমেদের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক ইউসুফ জামাল, খুলশী থানা বিএনপি নেতা সৈয়দ ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন, নবী  হোসেন, মহানগর মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদিকা এড. আয়েশা আক্তার সানজি, মহানগর যুবদলের  কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, নুরুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, মো. ফারুক, মো. বাবুল, মো. জুয়েল, খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ, মহানগর ছাত্রদল নেতা মো. বাবলু, থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোক্তার হোসেন, থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র জনতা  স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ফ্যাসিবাদের অক্টোপাশ থেকে মুক্ত হয়েছে। তবে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পর্দার অন্তরাল থেকে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপকর্মে মেতে ওঠেছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে এসব অপকর্ম প্রতিহত করতে হবে। যেকোনো অপপ্রচার ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। (বাসস)