গাজার উত্তরে শনিবার একটি পোলিও টিকাদান কেন্দ্রে হামলায় চার শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ কথা জানায়।
জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, ইসরাইলি বোমা হামলার কারণে এর আগে টিকাদান স্থগিত করতে বাধ্য হয়, পরে ডাব্লিউএইচও শুধুমাত্র গাজার উত্তরে শনিবার দ্বিতীয় দফা টিকাদান পুনরায় শুরু করে।
ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসুস বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ‘এমন একটি এলাকায় যেখানে টিকা দেওয়ার একটি মানবিক বিরতি দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা টিকা দান প্রয়োজন পরে।’
কারা এই হামলা চালিয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে, ইসরাইল স্বাস্থকেন্দ্রটিতে একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে গাজার একটি সূত্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার সূত্র এএফপিকে বলেছে, ‘একটি ইসরাইলি কোয়াডকপ্টার শেখ রাদওয়ান ক্লিনিকের দেয়ালে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।’
হামাসের পুনরায় সংগঠিত হওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার উত্তরে বড় ধরণের হামলা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের এজেন্সি প্রধানরা উত্তর গাজায় একটি ‘অ্যাপোক্যালিপটিক’ পরিস্থিতির কথা বলেছেন, যেখানে ‘মৌলিক সাহায্য এবং জীবন রক্ষাকারী সরবরাহ থেকে বঞ্চিত’ হচ্ছে।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখ- ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম পোলিও আক্রান্ত সনাক্ত হওয়ার পর, ১ সেপ্টেম্বর একটি সফলভাবে প্রথম রাউন্ডের সাথে টিকাদান অভিযান শুরু করে।
তেদ্রোস বলেন, শনিবারের হামলার ঠিক আগে ডব্লিউএইচও’র দল ঘটনাস্থলে ছিল। এই হামলা, মানবিক বিরতির সময়, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে বিপন্ন করে এবং অভিভাবকদের তাদের বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার জন্য আনতে বাধা দিতে পারে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, উত্তরে প্রায় ১ লাখ ১৯০০০ শিশু টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ৪ লাখ ৫২,০০০ টিকা দেওয়া হয়েছে।