বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘পাটকে ‘জিআই’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ’ নামে পাটের জিআই হবে।
আজ রোববার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুটি মিলের মালিকানা হস্তান্তর উপলক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ’বন্ধ থাকা মিলগুলো উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দ্রুত উৎপাদনের আওতায় আনা হবে। পিপিপি বা দীর্ঘমেয়াদি লীজের মাধ্যমে নিয়ে বিনিয়োগকারীরা টেক্সটাইলসহ অন্যকিছু করতে পারেন। এখন পাটের চাহিদা, দাম বাড়ছে। পাটের অবৈধ মজুদদারি কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। ‘
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রাণ গ্রুপকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন্ধ মিলগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করে কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয়, সামাজিক উন্নয়নসহ শিল্পায়নের প্রসারে সুফল পাওয়া যাবে। বিনিয়োগকারীদের বন্ধ থাকা মিলগুলোতে আগামীতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিল এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি)র মাধ্যমে পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল (বিটিএমসি) এর সাথে যথাক্রমে প্রাণ গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল লিঃ এবং বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিঃ এর চুক্তি স্বাক্ষর ও মিল হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রাণ গ্রুপ এই দুটি মিল আগামী ৩০ বছর মেয়াদে কার্য পরিচালনা করবে। এছাড়া এ চুক্তি ১০ বছর বর্ধিত করার সুযোগ রয়েছে। দুটি মিলের মধ্যে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিলের আয়তন ১৯ একর এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিলের আয়তন ২৬ একর। প্রাণ গ্রুপ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আধুনিক টেক্সটাইল মিল হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটিকে গড়ে তুলবে। মিল দুটিতে প্রায় দশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবার সম্ভাবনা আছে।
অনুষ্ঠানে বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা,সুব্রত শিকদার, এ, এন, এম, মঈনুল ইসলামসহ বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।