চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: বায়ার্নকে বিধ্বস্ত করেছে বার্সেলোনা, লিভারপুলের জয়ের ধারা অব্যাহত

রাফিনহার হ্যাটট্রিকে বায়ার্ন মিউনিখকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সেলোনা। এদিকে আরবি লিপজিগকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শতভাগ জয় বজায় রেখেছে লিভারপুল। আর্লিং হালান্ডের অসাধারণ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিও জয় নিশ্চিত করেছে।

পাঁচবারের বিজয়ী বার্সার বিরুদ্ধে ছয়বারের বিজয়ী বায়ার্নের ম্যাচকে ঘিড়েই কাল ছিল মূল আকর্ষন। ব্রাজিলিয়ান এ্যাটাকার রাফিনহা ও ইন-ফর্ম অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কি স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ করেননি। ঘরের মাঠে প্রথম মিনিটেই রাফিনহার গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। হ্যারি কেনের গোলে ১৮ মিনিটেই সমতায় ফিরে বায়ার্ন।

এবারের আসরে এনিয়ে তিন ম্যাচে পঞ্চম গোল করলেন ইংলিশ অধিনায়ক কেন। কিন্তু তিন ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয় এড়ানোর জন্য কেনের এই গোল যথেষ্ঠ ছিলনা।

ম্যাচ শেষে হ্যাটট্রিকম্যান রাফিনহা বলেছেন, ‘আমার মতে এই ম্যাচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের সমান ছিল। এভাবেও ম্যাচে জেতা যায় তা অবিশ্বাস্য। বিশেষ করে নিজেদের সমর্থকদের সামনে এই ধরনের জয়ের অনুভূতি ভিন্ন।’

এই পরাজয়ে বায়ার্ন লিগ পর্বের টেবিলের অনেকটাই তলানিতে চলে গেছে। দুই জয়ে বার্সেলোনা উঠে এসেছে ১০ নম্বরে।

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই রাফিনহা গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন। গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি রাফিনহা। ১৮ মিনিটে সার্জি গ্যানাব্রির ক্রস থেকে এ্যাক্রোবেটিক ভলিতে সমতা ফেরান কেন। বায়ার্নের সাবেক খেলোয়াড় লিওয়ানদোস্কি ৩৬ মিনিটে আবারো বার্সাকে এগিয়ে দেন। ফারমিন লোপেজের একটি শট বায়ার্ন রক্ষনভাগ আটকাতে ব্যর্থ হলেও সেই সুযোগে পোলিশ তারকা স্কোরশিটে নাম লেখান। বিরতির ঠিক আগে ডানদিক থেকে কার্লিং শটে রাফিনহা নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ৫৬ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক থেকে লামিন ইয়ামালের পাসে বাম পায়ের জোড়ালো শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।

ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে হালান্ডের জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার সিটি স্পার্টা প্রাগকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। এর মধ্যে হালান্ডের দেয়া প্রথম গোলটি ছিল অতিমানবীয়। অন্তত সিটি বস পেপ গার্দিওলা তেমন দাবীই জানিয়েছেন। ডান দিক থেকে সাভিনহোর ক্রসে গোল করার জন্য হালান্ড সুবিধাজনক পজিশনে ছিলেন না। কিন্তু অত্যন্ত চতুরতার সাথে বলটি শূন্যে থাকতে হালান্ড একটু লাফিয়ে পেছনে ঘুরে পায়ের পেছনের অংশ দিয়ে ব্যাকহিল ভলিতে বল জালে জড়ান।

গার্দিওলা বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য। বলটি যখন তার কাছে এসেছিল আমি সেটা ভালমতই দেখেছি। সে একটি মূর্তির মত সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। একজন মানুষের জন্য এই ধরনের গোল করা স্বাভাবিক না।’

দুই বছর আগে সাবেক ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রায় একই ধরনের একটি গোল করেছিলেন হালান্ড, যা মৌসুমের সেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছিল।

৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটিজেনরা। ঐ এক গোলের ব্যবধানেই প্রথমার্ধ শেষ করে গার্দিওলার দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে হালান্ড, জন স্টোনস ও ম্যাথিয়াস নুনেসের গোলে সিটির বড় জয় নিশ্চিত হয়।

দুইবার লোয়িস ওপেন্ডার অফসাইড পজিশনে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সুবিধা করতে পারেনি লিপজিগ। শেষ পর্যন্ত ডারউইন নুনেজের ২৭ মিনিটের গোলে লিভারপুল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তিন ম্যাচে তিন জয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল। (বাসস/এএফপি)