ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, দুর্গাপূজার পর ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে আইজিপি একথা বলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, আগামীকাল রোববার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হবে। বিসর্জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এ পূজা যেন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে পূজা মণ্ডপগুলোতে প্রায় সোয়া দুই লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর ৭৫ হাজার সদস্য প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। আমরা যখনই পূজা সংক্রান্ত যেকোনো সংবাদ পাচ্ছি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৪টি মামলা, ২৯টি জিডি এবং ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আইজিপি বলেন, যারা অপতৎপরতা চালানোর অপচেষ্টা করেছেন, তারা সংখ্যায় খুবই কম। তিনি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মনন্দ মহারাজ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)