স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ, গতিশীল ও সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর ডিপিএইচই মিলায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার জেনারেল মো. যাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্নয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা ও ডেপুটি রেজিস্টার জেনারেল ড. আবু নছর মোহম্মদ আবদুল্লাহ।
তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে একটি শক্তিশালী গবেষণা সেল গঠনের মাধ্যমে কিভাবে কাঙ্খিত নাগরিক সেবা বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’।
প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার জেনারেল মো. যাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্নয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা ও ডেপুটি রেজিস্টার জেনারেল ড. আবু নছর মোহম্মদ আবদুল্লাহ।
এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, গ্রামের চেয়ে শহরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার বেশি। কারণ শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে কর্মরত জনবলের ঘাটতি রয়েছে। জনবলের সুষম বন্টনের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ শিশুর জন্ম হয়। এজন্য হাসপাতালগুলোতে জন্ম নিবন্ধনে ব্যক্তিগত ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা প্রচারের উদ্যোগ নিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, তৃতীয় লিঙ্গ ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর শিশুরা জন্ম নিবন্ধন সেবা হতে যাতে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য নিবন্ধন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সদা সজাগ রাখতে হবে।
পরে উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাজে অনন্য অবদান রাখায় ২১টি প্রতিষ্ঠান ও তিনজন কর্মকর্তাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। (বাসস)