ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন মার্কো রুবিও : নিউইয়র্ক টাইমস

ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চূড়ান্তভাবে এই দায়িত্ব পেলে রুবিও হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক। নিউইয়র্ক টাইমস সোমবার রাতে এ খবর জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস তিন ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো চুড়ান্ত না হলেও ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী হলেন রুবিও।

নিউইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ফ্লোরিডায় জন্ম নেয়া এই রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন চীন, রাশিয়া, ইরান ও কিউবার বিষয়ে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক।

ট্রাম্প সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন মার্কো রুবিও।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রুবিওর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যেগ নেওয়া ।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গত এক দশকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধারে জোর না দিয়ে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে মনোযোগী হওয়া।

গত এপ্রিলে ইউক্রেনের জন্য ৯ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের মধ্যে তিনি একজন।

গত সেপ্টেম্বরে এনবিসিকে রুবিও বলেন, আমি রাশিয়ার পক্ষে নই। কিন্তু বাস্তবতা হলো-আলোচনাভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমেই ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি টানা সম্ভব। ১৯৬২ সালে রুবিওর দাদা কিউবা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।

এর আগে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির এলিস স্টেফানিককে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া ট্রাম্প তার পরবর্তী প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন টম হোমানকে। তিনি কট্টর অভিবাসীবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। (বাসস)