তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চালিকাশক্তি : মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের জাতির চালিকাশক্তি এবং তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি অমূল্য। আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, রাউন্ড টেবল ডিসকার্সন ফর ইয়থ পারস্পেক্টিভ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি আজ এ কথা বলেন।
ড. মোমেন ব্লকচেইন এবং নিউরাল নেটওয়ার্কসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসার কার্যক্রমের মধ্যে উদ্ভাবনের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এতে এআই এবং এ সম্পর্কিত প্রযুক্তিতে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।’ গোলটেবিল আলোচনার লক্ষ্য ছিল একটি আরও স্মার্ট এবং আরও উদ্ভাবনী জাতি তৈরিতে বাংলাদেশের যুবকদেরকে সম্পৃক্ত করা।

আলোচনায় যুবকদের সম্পৃক্ততা এবং উদ্ভাবনের প্রতি দেশের অঙ্গীকারের একটি মাইলফলক হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড প্রবর্তনের ওপরও আলোকপাত করা হয়।
সরকারের কেন্দ্রীয় ক্ষমতা কাঠামোকে যুব শক্তির সাথে সংযুক্ত করা ছিল গোল টেবিলের মূল বিষয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্য সচিব ও স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের (এসবিএন) কো-চেয়ার ড. আবুল কালাম আজাদ।

আজাদ বলেন, ‘এই উদ্যোগটি স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। আমাদের সাফল্যের জন্য তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড উদ্ভাবনের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ ইনোভেশন অফিসার এবং ডিজি, ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট ও আইসিটি, ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং এর বাইরেও উদ্ভাবনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখা তাদের নিজস্ব ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উদ্যোগ প্রদর্শন করছে এবং বিশ্বব্যাপী এই সক্ষমতা উপস্থাপন করেছে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক স্কুল, মাদ্রাসা এবং সারা দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যুব প্রতিনিধিদের সাথে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং এটুআই-এর কর্মকর্তারা আলোচনা সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা ‘ইনোভেশন লাউঞ্জ’ এবং ‘আইল্যাব’ এর মতো  বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে এর উন্নয়নমূলক উচ্চাকাক্সক্ষায় আরও প্রত্যক্ষভাবে যুবকদের অংশগ্রহণ চেয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতির ভবিষ্যত গঠনের নীতিনির্ধারণী সংলাপে তাদের কণ্ঠস্বর নিশ্চত করতে তরুণদের সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণের লক্ষে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক ব্যবধান দূর করতে সেতুবন্ধন রচনা করতে চায়।
এই উদ্যোগটি স্বীকার করে যে তরুণরা শুধু অংশগ্রহণকারী নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ যাত্রায়ও তারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  অংশীজন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশের বিদেশী মিশনের সহযোগিতায় তরুণদের উদ্ভাবন বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চায়।

এই বৈশ্বিক প্রচারণা শুধু বাংলাদেশের উদ্ভাবনই প্রদর্শন করবে না বরং আন্তঃসাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগও তৈরি করবে। এই উদ্যোগের আরেকটি লক্ষ্য হল বাংলাদেশের তরুণদের সৃজনশীল শক্তিকে  গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন এবং ডিজাইন ইকোসিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করা। (বাসস)