জেলার সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ড্রাইভার আবুল হোসেন মিজি নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের নামে আজ ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে নিহত আবুল হোসেন মিজির মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাহিদা বেগম মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার তার ছেলে আবুল হোসেন মিজি বাসের ড্রাইভিং করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওয়ানা হয়ে অটোরিকশা যোগে সাইন বোর্ড আসেন। ছাত্র-জনতার রাস্তায় অবস্থান করায় তিনি অটো থেকে নেমে পড়েন। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা- কর্মিরা সাইনবোর্ডে জড়ো হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন পন্ড করতে গুলিবর্ষণ করেন। ওইসময় শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমীর ওসমান তার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে আবুল হোসেন মিজির পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিক মনির হোসেন, জুয়েল, আল আমিন, ইসলামসহ কয়েকজন মিলে তাকে উদ্ধার করে প্রোএকটিভ মেডিকেলে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে আবুল হোসেন মিজি মারা যান।
এদিকে, জেলার রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী রোমানের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগী গাজী ও তার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ ১০৫ জনকে আসামী করে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে নিহত রোমানের খালা রিনা বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী এজাহারে বলেন, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোমান মিয়া আহত হন । পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রোমান মিয়া নব কিশোলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। (বাসস)