পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানলে আরো মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে

পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল আরও বহু মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। দেশটির উত্তরে বুধবার ক্রু’রা  কয়েক ডজন দাবানলের সাথে লড়াই করেছে। লিসবন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
প্রবল তাপ ও বাতাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চল জুড়ে বনের দাবানল ছড়িয়ে পড়লে সপ্তাহান্তে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ বুধবার তার ওয়েবসাইটে ৪২টি সক্রিয় আগুন তালিকাভুক্ত করেছে এবং বলেছে যে তারা প্রায় ৩,৯০০ দমকলকর্মী ও সহ¯্রাধিক যানবাহন সংগ্রহ করেছে। পোর্তোর ঠিক বাইরে গন্ডোমার  পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার রাতে আরও উদ্ধার চালিয়েছে।
অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ আভেইরো অঞ্চলের আরৌকাতে দাবানলের সাথে লড়াই করছে। তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা যায়নি। ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএফএফআই) এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার থেকে পোর্তোর দক্ষিণে প্রায় ২০ হাজার  হেক্টর এলাকার গাছপালা পুড়ে গেছে। সপ্তাহান্তে দাবানল শুরু হওয়ার পর  থেকে মোট ১৫টি পৃথক দাবানল  এক হাজার হেক্টর সীমা অতিক্রম করেছে। আভেইরো কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেছে , দমকলকর্মীরা ১০০ কিলোমিটার পরিধি জুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার তিনজন দমকলকর্মী তাদের যানবাহনসহ আগুনে আটকা পড়ায় মারা যান। নাগরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন সম্পর্কিত মৃতের সংখ্যা সাতজনে  পৌঁছেছে এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। একটি ফরেস্ট্রি কোম্পানিতে কর্মরত এক ২৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান কিছু সময় অবসর কাটাতে গেলে আগুনে আটকা পড়ে মারা যান। অন্য দু’জন হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং একজন  স্বেচ্ছাসেবক দমকলকর্মী আগুনের যুদ্ধে বিরতি নেওয়ার সময় মারা যান।
২০১৭ সালে মারাত্মক দাবানলে শত শত মানুষের মৃত্যু হলে লিসবন অগ্নি প্রতিরোধের তহবিল দশগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাজেট দ্বিগুণ করেছে। (বাসস)