পুঁজিবাজারে ঝুঁকিবিহীন কোন প্রোডাক্ট নেই।ঝুঁকি কমানোর জন্য এক জায়গায় বিনিয়োগ না করে একাধিক শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত। ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৮’ উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহি পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাজাধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, বিএসইসি একটি সিষ্টেমের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করে। চাইলেই প্রতিদিন শেয়ার দর বৃদ্ধি বা অনিয়মের বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না।আইনী বাধ্যবাধকতা আছে। প্রতিদিন হস্তক্ষেপ করলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর পুঁজিবাজারে একটি গ্রুপ থাকে, যারা টার্গেট করে কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে আর সেখানেই সাধারন বিনিয়োগকারীরা লোকসানে পড়ে।
ঝুকির পরিমাণ বোঝানোর জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে যোগ্যতা অনুযায়ি ভিবিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।যেমন, ‘এ’ ‘বি’ ‘এন’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের এই ক্যাটাগারিতেই বেশি আগ্রহ দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ে। এছাড়া ‘এ’ ক্যাটাগরির কিছুসংখক দূর্বল কোম্পানিতে তাদের আগ্রহ বেশি থাকে।
সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আনুপাতিক হার বেশি। যাদের এককভাবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা এবং প্রবণতা নেই। এরা সাধারনত গুজবভিত্তিক ও তথাকথিত বড় বিনিয়োগকারীদের অনুসরন করে। যাতে তাদের বিনিয়োগ থেকে মুনাফা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমনকি তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ঝুকির মধ্যে পড়ে যায়।
জাকির/আজকের বাজার