দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য পুঁজিবাজারে শিগগিরই ‘গ্রীণ বন্ড’ নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১’ বিষয়ক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সম্মেলনটি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিআইসিএম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, গ্লোবাল গ্রীণ গ্রোথ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবায়রন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজসেন স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজউদ্দীন আহমেদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে ভাল করছে। স্বাধীনতার ৩০ বছর আমরা আশানুরুপ উন্নতি করতে পারিনি।এখন তাই আমাদের দ্বিগুন গতিতে এগোতে হবে। তিনি বলেন, এ ধরণের সম্মেলন থেকে যেসব কর্মপরিকল্পনা আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করে। তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজাারের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রেগুলেটরদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, টেকসই অর্থনীতির জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং ও কর্পোরেট সুশানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস ইন্স্যুরেন্স ও পেনশন ফান্ড দুর্বল,তাই এক্ষেত্রে আমাদের জোর দেয়া উচিত।
গ্লোবাল গ্রীণ গ্রোথ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবায়রন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে গ্রীণ বন্ড নিয়ে আসার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এদেশে গ্রীণ ফাইন্যান্সিংকে জোরদার করতে গ্রীণ প্রকল্পগুলোতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে ৩২ জনেরও বেশি টেকসই অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বিষয়ে খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ,গবেষক,পেশাজীবী, মার্কেট স্টেকহোল্ডার্স ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করছেন।