গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘পূর্বাচল হবে দেশের প্রথম স্মার্ট সিটি। এখানে আবাসিক প্লট ছাড়াও ২৫০ একর জমিতে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০ একর জমিতে একটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। যদি দুটি টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব হয় তবে জমির পরিমাণ বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে একটি টাওয়ার হবে আমাদের স্বাধীনতার স্মারক হিসেবে ৭১তলা বিশিষ্ট। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। ’

উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্প, উত্তরা তৃতীয় পর্ব এবং পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরা তৃতীয় পর্বের ভূমি, লেক ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের মধ্যে। এখানে উন্নয়ন কাজের প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।’

উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অল্প কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি অবশিষ্ট রয়েছে। আগামী মাসে ৮৪০টি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার জনগণের আবাসন সমস্যার সমাধানে রাজউকের আবাসিক এলাকায় এপার্টমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় মোট প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিজস্ব অর্থে ১৭৯টি ভবনে মোট ১৫ হাজার ৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৭৯টি ভবনে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে।’

‘এসব ফ্ল্যাট অত্যন্ত কমমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বর্গফুটের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এ ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিচ্ছে। সাড়ে আট ভাগ সুদে এ ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।’

গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ৪৫ শতাংশ জায়গায় সবুজ বেষ্টনি, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, শপিংমল ইত্যাদি রাখা হচ্ছে। এছাড়াও বেসমেন্ট ও নিচতলায় গাড়ি পার্কিং ও দৃষ্টিনন্দন লেক থাকবে এ প্রকল্প এলাকায়। এখানে অবশিষ্ট ১০০টি ভবন নির্মাণ করবে মালয়েশিয়া সরকার। ’

এ সময়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, সদস্য (উন্নয়ন) আব্দুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট