জেলায় শক্রবার রাতে পৃথক ট্রেন ও সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। মৃত আশরাফুল ইসলাম(৩৫) রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা এলাকার আজিমউদ্দিনের ছেলে। এছাড়া আশরাফুল বগুড়ায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী অসুস্থ। তাই এক পরিচিত বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে শহরের সাতমাথায় তিনি ওষুধ কিনতে যান। রাত ৯টার দিকে ওষুধ কিনে ফেরার পথে শহরের ওয়াপদা রেল গেইট পার হওযার সময় বগুড়া থেকে সান্তাহারগামী পদ্মরাগ ট্রেনের ধাক্কায় আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এসময় মোটর সাইকেলের পেছনে থাকা ব্যক্তি লাফ দিলে প্রাণে বেঁচে যান।পুলিশ আরো জানায়, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অপর দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাসের ধাক্কায় লিয়াকত আলী (৬০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। রাত পৌনে নয়টার দিকে গাড়ীদহ ওভার ব্রিজের নিচে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত লিয়াকত আলী শাজাহানপুর উপজেলার চেতুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম জানান ,লিয়াকত আলী শেরপুরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শেরপুর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পাশ্ববর্তী শাহজাহানপুর উপজেলায় বাড়ি ফিরছিল। এসময় গাড়ীদহ এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা একটি বাস থাকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা শেরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে। (বাসস)