বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে গতকাল শুক্রবার ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৫ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছে। যাদের সঙ্গে গত বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২২ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়।
এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তিন দিন আগে ট্রলারটি ২২ জেলেকে নিয়ে গভীর সাগরে ইলিশ ধরতে রওনা দেন। বৈরী পরিবেশে সাগর উত্তাল থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা উপকূলের দিকে ফিরতে শুরু করেন। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে তাঁদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ঝোড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে।
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি লাইফগার্ড সি-সেফ এর তত্ত্বাবধায়ক মো. ওসমান গণি বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবতে দেখে লাইফগার্ডের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির মধ্যেই সাগরে নেমে ১৯ জন জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফিরতে না পারা ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি। (বাসস)