অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির ছিল। আমাদের তা জোরদার করতে হবে।”
বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ আজ রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় উপদেষ্টার সঙ্গে তার ইআরডি কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, তিনি এক্ষেত্রে শুধুমাত্র জিটুজি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর না করে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে এ বিষয়ে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে আরও এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হওয়ায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার এ ব্যাপারে তাদের গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “এটা তাদের কল্পনার বাইরে ছিল। তারা একটি প্রদর্শনীতে অংশ নেবে এবং পাটজাত পণ্যের প্রচার ও আমদানির চেষ্টা করবে যাতে তাদের
উদ্যোক্তারা এ বিষয়ে আগ্রহী হয়। আমাদের ব্যবসায়ীরাও তাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারেন।
সালেহউদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে সুবিধাজনক হলে পাকিস্তান ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার চেষ্টা করবে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি সহায়তার মতো কিছু বিষয় রয়েছে এবং যৌথভাবে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উভয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।”
পাকিস্তান অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরালোভাবে শুরু করতে চায় উলে¬খ করে তিনি বলেন, “তবে দ্রুত তা শুরু করা যাবে না। আমরা এখনই শুরু করতে পারছি না। এ লক্ষ্যে বরং আমাদের কিছু হোমওয়ার্ক করতে হবে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “আমরা এর প্রতিটি দিক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমরা আগামী বছরগুলিতে বাংলাদেশের সাথে ব্যাপক ও গভীরতর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার পাশাপাশি আরো বেশি আদান প্রদানের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, এই মুহূর্তে আমরা অনুভব করছি যে,
আমরা কিছু সহায়তা প্রদান করতে পারি। আমরা বলেছি যে, বন্যা পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমরা কিছু সহায়তা দিতে পারি। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে আলাপকালে বেশ কিছু দিন আগে এ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, “সুতরাং, সেই অফারটি এখনও আছে এবং আমি এটি অর্থ উপদেষ্টার সাথে শেয়ার করেছি। আমরা বাংলাদেশ, সরকার এবং জনগণকে বন্যা পরবর্তী ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। (বাসস)