বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, দেশী-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুহাম্মদ ফারুক খান আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড ও পর্যটন কর্পোরেশন পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সাথে আয়োজিত বৈঠকে এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কারণে দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আনন্দের কথা। এখন আমাদেরকে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বিদেশি পর্যটকেরা যেন বাংলাদেশের পর্যটন সম্পর্কে জানতে পারে, সেজন্য উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, তাদের দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রদান, অন এরাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও, পর্যটকদের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ সার্ভিস চালু ও দক্ষ ট্যুর গাইড তৈরির বিষয়েও মন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পর্যটন খাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটনে বেসরকারি খাত ও ট্যুর অপারেটরগণ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন।
তিনি বলেন, পর্যটনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের সাথে সমন্বয় বৃদ্ধি সাপেক্ষে তাদের সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন “স্মার্ট বাংলাদেশ” বাস্তবায়নে পর্যটন খাতে কর্মরত সবাইকে চিন্তা-ভাবনা ও কাজে স্মার্ট হতে হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবেই। এ শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংস্কৃতি ঠিক রেখে বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশের পর্যটন আকর্ষণকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ও কালিনারি ট্যুরিজমের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
পর্যটন কর্পোরেশনের সকল স্থাপনা আরো বেশি লাভজনক করার জন্য সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন সেবা চালু করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। (বাসস)