সরকার, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, বিধিমালা, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩৬ নং আইন) এর ধারা ২৬ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা, ২০২৪ জারি করেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় গত ২৪ অক্টোবর বিধিমালা জারি করে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে, আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন দায়েরকৃত কোনো মামলায় কোনো দলিল প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত বা প্রস্তুতকৃত মর্মে প্রমাণিত হলে, বিচারিক আদালত উক্ত মামলার রায় বা আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করবেন। প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ বিচারার্থ প্রেরণে আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড হালনাগাদকরণ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে প্রদর্শিত বা উপস্থাপিত কোনো দলিল বা তথ্যের বিষয়ে প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে বিশ্বাস কবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাব প্রদানের জন্য নোটিশ প্রদান করবেন।
অবৈধ দখল প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ৭ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আইনানুগভাবে দখলদার কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করার চেষ্টা করা হলে বা হুমকি প্রদান করা হলে অথবা তাকে উক্ত ভূমির দখল বা প্রবেশে বাধা প্রদান করা হলে তিনি এতদুদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ আবেদন করতে পারবেন।
অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধারের আবেদন পদ্ধতি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হলে তিনি তাতে উল্লেখিত দলিলাদিসহ তার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করার নিমিত্ত এতদুদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
দখল পুনরুদ্ধারে আইনের ধারা ৮ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নালিশী ভূমির দখল হস্তান্তরে প্রতিপক্ষ বরাবর প্রদত্ত আদেশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দখল হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তার আদেশ প্রদান করতে পারবেন। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির ক্ষতিসাধন বা শ্রেণি পরিবর্তন এবং অবৈধভাবে মাটির উপরি-স্তর কর্তনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনের ধারা ১১, ১২ ও ১৩ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কার্য করেন, তবে কেন তার বিরুদ্ধে আইনের ধারা ১৪ এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (বাসস)