নানা ধরণের জটিলতা কাটিয়ে শুরু হলো বেসিসের নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪০ জন। এর মধ্যে জেনারেল সদস্য ক্যাটাগরিতে ৩৪ এবং অ্যাসোসিয়েটে ৬ জনের মনোয়নপত্র জমা পড়েছে।
বেসিসের বেঁধে দেয়া সময়ানুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন।
বেসিস সূত্র বলছে, বেসিসের নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের দেয়া স্বিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ জুন বেসিসে প্রথমবারের মতো তিন বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হয়। প্রতি এক বছর শেষে তিন জন বা এক-তৃতীয়াংশ পরিচালকের অবসরে যাওয়ার কথা এবং শূন্য তিন পদে নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা। বিষয়টি বেসিসের সংঘবিধিতে উল্লেখ ছিল। তখন স্ব-ইচ্ছায় নির্বাহী কমিটি থেকে কেউ কেউ পদত্যাগ না করায় লটারি হয়। এরপর তৎকালীন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ডিটিওর কাছে আবেদন করেন লটারি নয় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনজন যেন পদত্যাগ করেন। ডিটিও উভয় পক্ষের শুনানি করে বেসিসের সংঘবিধি সংশোধন করে সব পদে দুই বছর মেয়াদে নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। এরপর বেসিস অতিরিক্ত সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে সংঘবিধি সংশোধন করে। সেটি ডিটিওর অনুমোদনের পর দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠনের জন্য ৩১ মার্চের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচন নিয়ে ২০১৭ সাল জুড়ে সরগরমের পর অবশেষে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় বারের মতো সংগঠনটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ৩১ তারিখে নির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে। ডিটিও’র নির্দেশনা অনুযায়ী ২ বছর মেয়াদের জন্য ৯ পদে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।