মৎস্য খাতের সুরক্ষায় সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহ ও কার্যকর দিক নির্দেশনায় মৎস্য সেক্টর একটি লাভবান সেক্টরে পরিণত হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচী দেশের জনগণকে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করানোর পাশাপাশি এই খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
স্পিকার আজ রাজধানীস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩’ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন মহান ও দূরদর্শী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মৎস্য খাতকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলনের শুভ সূচনা করেছিলেন৷ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্লাবনভূমিসহ নদী-নালা, খাল-বিল ও হাওড়ে গুণগত মানসম্পন্ন পোনা অবমুক্ত করার গুরুত্ব অনুভব করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনও গণভবন, বঙ্গভবন ও জাতীয় সংসদ লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে।
স্পিকার বলেন, মৎস্য খাতে বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন কর্মক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে এবং সর্বোপরি জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। এসময় তিনি জনগণের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখার জন্য সকলকে মৎস্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এসময় তিনি মৎস্য খাতে জাতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৮ জনকে স্বর্ণপদক, ৭ জনকে রৌপ্য পদক, ৬ জনকে ব্রোঞ্জ পদক হিসেবে ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান করেন।
এরপরে তিনি ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে সংসদ ভবনের লেকে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউসসহ মোট ১৩ হাজার ১৫০টি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
এ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, ও ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বাসন্তী চাকমা, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত মৎসজীবী, মৎস্যচাষী, মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)