বাংলাদেশের নির্মাণাধীন (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম প্রকৌশল বিভাগ জেএসসি এসএসই) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ২ এর রিয়াক্টর ভেসেল এবং চারটি স্টীম জেনারেটর বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এইএম টেকনোলজির ভল্গোদনস্ক শাখার এটোমম্যাস প্লান্টে ইউনিট ২ এর জন্যে ভারী যন্ত্রাংশসমুহ প্রস্তুত করা হয় (৩৩৩.৬ টন ওজনের রিয়াক্টর ভেসেল এবং ৩৪০ টন ওজনের স্টীম জেনারেটর)। এই কার্গো পরিবহনে ২ মাসের বেশি সময় লেগেছে। এটোমম্যাসের কারখানা থেকে এই সরঞ্জামগুলোকে ভল্গোদনস্কের পানির রিজার্ভয়ার এ নেয়া হয়, এর পর একে বার্জে উঠিয়ে নভোরোসিস্কে পাঠানো হয়। এনা ভেসেলে করে এই সরঞ্জাম গুলো নভোরোসিস্ক থেকে কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে বাংলাদেশের মংলা বন্দরে আসতে এদের প্রায় ১৪০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
ভিভিইআর-১২০০ রিয়াক্টর ভেসেল প্রস্তুত করতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় লাগে। এই সম্পূর্ণ কাজে বিএইসি এবং বিএইআরএ এর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়। গত অক্টোবর মাসে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১ এর রিয়াক্টর ভেসেল এবং স্টীম জেনারেটর বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউনিট ১ এর রিয়াক্টর ভেসেল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই নকশা অনুযায়ী স্থাপন করার কথা।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার পদ্মা নদীর পুর্বতীরে নির্মিত হচ্ছে। রোসাটম রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন প্রকৌশল শাখার নকশার অনুযায়ী এটি নির্মিত হচ প্রকল্পে মোট ২টি ইউনিটের প্রত্যেকটিতে ভিভিইআর ১২০০ টাইপের জেনারেশন থ্রি প্লাস চুল্লি থাকছে এবং এগুলোর জীবনকাল ৬০ বছর, যা পরে আরো ২০ বছর বাড়ানো যেতে পারে ।
রাশিয়ান নকশার এই ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর, যা বাংলাদেশের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে , এটি নভোভোরোনেঝ পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে সফলভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে । এই ধরনের রিয়াক্টর গুলো যুগান্তকারী জেনারেশন থ্রি প্লাস প্রযুক্তি যুক্ত এবং সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান অনুযায়ী নির্মিত ।