শরীয়তপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০৭টি মন্ডপে চলছে প্রতীমা তৈরী ও সাজ সজ্জার কাজ

দেবীদুর্গাকে বরণ করে নিতে শরীয়তপুর জেলার ১০৭টি মন্ডপে প্রতীমা তৈরী, সাজ সজ্জাসহ চলছে প্রস্তুতি। প্রতীমা নিমার্ণ শ্রমিকরা প্রতীমা তৈরী, রঙসহ দৃষ্টিনন্দন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. অমিত ঘটক চৌধুরী বাসস’কে বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুর্গোৎসবকে আনন্দমুখর ও সার্বজনীন করার লক্ষ্যে আমরা অত্যন্ত সতর্কতা ও আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার জেলার ১০৭টি মন্ডপে উৎসবের আমেজে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৩৩টি, নড়িয়া উপজেলায় ৩৮টি, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, গোসাইরহাট উপজেলায় ৮টি, ডামুড্যা উপজেলায় ৬টি ও জাজিরা উপজেলায় ৫টি মন্ডপে প্রতীমা তৈরী এবং সাজ সজ্জার কাজ চলছে। আমরা জেলা, উপজেলা, স্থানীয় মন্ডপ কমিটি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে আয়োজন করছি।
জেলা কেন্দ্রীয় মন্ডপ পালং হরিসভা) সভাপতি অনিক ঘটক চৌধুরী বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মন্ডপে এখন প্রতীমা তৈরী শেষে রঙ ও অন্যান্য সাজ সজ্জার কাজ চলছে। প্রতীমা শিল্পীরা তৈরী ও রঙের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলায় যে আকারের প্রতীমা তৈরী করা হচ্ছে তাতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এ বছর এখনো কোন সরকারি সহায়তা পাইনি। তবে শুনেছি খুব শীঘ্রই পাব। গত বছর আমরা মন্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি করে চাল অনুদান হিসেবে পেয়েছিলাম। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে পূজার আগেই পেয়ে যাব।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শরীয়তপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি সমীর কিসোর দে বলেন, শাস্ত্রীয় বিধান মতে এ বছর মা দুর্গা দোলায় আসবেন এবং ঘোটকে যাবেন। আমাদের শস্ত্র মতে এটি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে এবং ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। (বাসস)