শেরপুর সদরের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছে। বাড়তি খরচ, কীটনাশক ও সেচ সুবিধার প্রয়োজন না হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে অন্য কৃষকদের মাধ্যে এপর্যন্ত জেলার ৫ টি উপজেলায় ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে, জেলা কৃষি বিভাগ।
শেরপুর সদরের পাকুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বরাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তারিফ হাসান। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। হঠাৎ তারিফ কৃষি উদ্যো ক্তা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
পরবর্তীতে শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির পাশে পতিত জমিতে শুরু করেন বস্তায় আদা চাষ। এক বিঘা জমিতে তার বস্তা আছে ৪ হাজার। বস্তায় আদা চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। তারিফ আশা করছেন সব মিলিয়ে তিনি ৪ হাজার বস্তা আদা থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন।
একই ইউনিয়নের চৈতনখিল বটতলা গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় হাসান। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি নিয়ে কাজ করেন। হৃদয় নিজেও তার বাড়ির উঠোনে ১০ শতাংশ জমিতে বস্তায় আদা চাষ করেছেন। তার মোট বস্তার পরিমান ১৫শ। বস্তায় আদা চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০হাজার টাকা। কলেজ ছাত্র হৃদয় আশা করছেন ১৫শ বস্তা আদা থেকে ১ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন।
এবিষয়ে পাকুরিয়া ইউনিয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম খোকন বলেন, ছায়াযুক্ত স্থান, পুকুর পাড়ের চারপাশ ও অনুপযোগী পতিত জমি বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত স্থান। অন্য সবজির মত বস্তায় আদা চাষে বাড়তি যতœ, কীটনাশক, সেচ সুবিধার প্রয়োজন হয়না বলে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু জানান, শেরপুরে সদরে প্রায় শতাধিক কৃষক ২ লক্ষ ৩৩ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। যদি আরো কোন কৃষক এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে চান তাহলে জেলা ও উপজেলা কৃষি বিভাগ তাদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করবে। (বাসস)