সার্বিয়ান শহর নোভি সাদের রেল স্টেশনের বাইরের ছাদের অংশ বিশেষ ধসে শুক্রবার অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এখবর জানায়।
শুক্রবার ভোরে শহরের প্রধান রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ছাদটি প্রবেশদ্বারের কাছে ছায়া প্রদান করত এবং বেঞ্চে অপেক্ষারত তরুণ এবং বৃদ্ধ উভয় যাত্রীদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় জায়গা ছিল।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা হবে-১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আমরা পাঁচজনকে শনাক্ত করতে পারিনি।’
দেশব্যাপী টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি যোগ করেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য আমাদের সকলকে অবশ্যই একত্রিত হতে হবে এবং ক্ষতি কমাতে এবং যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করার জন্য আমাদের সাধ্যমত সবকিছু করতে হবে।’
ভুসিক বলেন, নিহতদের মধ্যে ছয় থেকে সাত বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।
এর আগে সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘আরটিএস’ এর খবরে বলা হয় দেশটি স্বরাষ্টমন্ত্রী আইভিকা ডেসিক জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নভি সাদ-এর একটি রেলস্টেশনের ছাউনি আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ধংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে আরো ২ জন।
তিনি বলেন, চাপা পড়া দুইজনকে উদ্ধারে ৮০ জনেরও বেশি দমকল কর্মী এবং উদ্ধারকারি দল অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্টেশনের ছাউনির নিচে ট্রেনের অপেক্ষায় অনেক লোক অবস্থান করছিলেন। আরটিএস জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি বুলডোজার ধংসাবশেষ অপসারণ করে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। নভিসাদের ব্লাড ট্রান্সফিউশন ইনস্টিটিউট স্থানীয় বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো জানায়, তিন বছর ধরে মেরামতের পর চলতি বছরের জুলাইতে স্টেশনটি আবার চালু হয়।
সার্বিয়ার রেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্টেশনের কিছু অংশের নির্মাণ কাজ এখনো চলছে।তবে ধসে পড়া যাত্রী ছাউনিটি মেরামতের অংশ ছিল না। তবে কি কারণে ছাউনি ধসে পড়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিক নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দোষীদের খুঁজে বের করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো।